মানুষের জীবনকে একটি দোতলা ঘরের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। জীবসত্তা সেই
ঘরের নিচের তলা, আর মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব ওপরের তলা। জীবসত্তার ঘর থেকে
মানবসত্তার ঘরে উঠবার মই হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষাই আমাদের মানবসত্তার ঘরে
নিয়ে যেতে পারে। অবশ্য জীবসত্তার ঘরেও সে কাজ করে; ক্ষুৎপিপাসার ব্যাপারটি
মানবিক করে ভােলাই, তার অন্যতম কাজ। কিন্তু তার আসল কাজ হচ্ছে মানুষকে
মনুষ্যত্বলােকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। অন্য কথায়, শিক্ষার যেমন
প্রয়ােজনের দিক আছে, তেমনি অপ্রয়ােজনীয় দিকও আছে। আর অপ্রয়ােজনের দিকই
তার শ্রেষ্ঠ দিক। সে শেখায় কী করে জীবনকে উপভােগ করতে হয়,কী করে
মনােমালিক হয়ে অনুভূতি ও কল্পনার রস আস্বাদন করা যায়। শিক্ষার এ দিকটা যে
বড় হয়ে ওঠে না, তার কারণ ভুল শিক্ষা ও নিচের তলায় বিশৃঙ্খল জীবসত্তার
ঘরটি এমন বিশৃঙ্খল হয়ে আছে যে, হতভাগ্য মানুষকে সব সময়ই সে সম্বন্ধে
সচেতন থাকতে হয়। ওপরের তলার কথা সে মনেই আনতে পারে না। অর্থচিন্তার নিগড়ে
সকলে বন্দি। ধনী-দরিদ্র সকলেরই অন্তরে সেই একই ধ্বনি উত্থিত হচ্ছে : চাই,
চাই, আরও চাই। তাই অন্নচিন্তা তথা অর্থচিন্তা থেকে মানুষ মুক্তি না পেলে,
অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়- একথা মানুষকে ভালাে করে বােঝাতে না পারলে
মানবজীবনে শিক্ষা সােনা ফলাতে পারবে না সুফল হবে ব্যক্তিগত, এখানে সেখানে
দুএকটি মানুষ শিক্ষার আসল উদ্দেশ্যটি উপলব্ধি করতে পারবে, কিন্তু বেশির ভাগ
লােকই যে তিমিরে সে তিমিরেই থেকে যাবে।
তাই অন্নচিন্তার নিগড় থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার যে চেষ্টা চলেছে তা
অভিনন্দনযােগ্য। কিন্তু লক্ষ্য সম্বন্ধে সচেতন না থাকলে সে চেষ্টাও মানুষকে
বেশি দূর নিয়ে যেতে পারবে বলে মনে হয় না। কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের
মূল্য কতটুকু? প্রচুর অন্নবস্ত্র পেলে আলাে হাওয়ার স্বাদবঞ্চিত মানুষ
কারাগারকেই স্বর্গতুল্য মনে করে। কিন্তু তাই বলে যে তা সত্য সত্যই স্বর্গ
হয়ে যাবে, তা নয়। বাইরের আলাে হাওয়ার স্বাদ পাওয়া মানুষ প্রচুর
অন্নবস্ত্র পেলেও কারাগারকে কারাগারই মনে করবে,
এবং কী করে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তাই হবে তার একমাত্র চিন্তা।
আকাশ-বাতাসের ডাকে ও যে পক্ষী আকুল, সে কি খাঁচায় বন্দি হবে সহজে দানাপানি
পাওয়ার লােভে? অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও ও মুক্তি বড়, এই বােধটি
মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।
চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই
সেখানে মুক্তি নেই। মানুষের অন্নবস্ত্রের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে
এই মুক্তির দিকে লক্ষ রেখে। ক্ষুৎপিপাসায় কাতর মানুষটিকে তৃপ্ত রাখতে না
পারলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না বলেই ক্ষুৎপিপাসার তৃপ্তির
প্রয়ােজন। একটা বড় লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রেখেই অন্নবস্ত্রের সমাধান করা
ভালাে, নইলে আমাদের বেশি দূর নিয়ে যাবে না।
তাই মুক্তির জন্য দুটি উপায় অবলম্বন করতে হবে। একটি অন্নবস্ত্রের চিন্তা
থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা, আরেকটি শিক্ষাদীক্ষার দ্বারা মানুষকে
মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়ানাের সাধনা। এ উভয়বিধ চেষ্টার ফলেই মানবজীবনের
উন্নয়ন সম্ভব। শুধু অন্নবস্ত্রের সমস্যাকে বড় করে তুললে সুফল পাওয়া যাবে
না। আবার শুধু শিক্ষার ওপর নির্ভর করলে সুদীর্ঘ সময়ের দরকার। মনুষ্যত্বের
স্বাদ না পেলে অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েও মানুষ যেখানে আছে
সেখানেই পড়ে থাকতে পারে; আবার শিক্ষাদীক্ষার মারফতে মনুষ্যত্বের স্বাদ
পেলেও অন্নবন্ত্রের দুশ্চিন্তায় মনুষ্যত্বের সাধনা ব্যর্থ হওয়া অসম্ভব
নয়।
কোনাে ভারি জিনিসকে ওপরে তুলতে হলে তাকে নিচের থেকে ঠেলতে হয়, আবার ওপর
থেকে টানতেও হয়; শুধু নিচের থেকে ঠেললে তাকে আশানুরুপ ওপরে ওঠানাে যায়
না। মানব উন্নয়নের ব্যাপারে শিক্ষা সেই ওপর থেকে টানা, আর সুশল
সমাজব্যবস্থা নিচের থেকে ঠেলা। অনেকে মিলে খুব জোরে ওপরের থেকে টানলে নিচের
ঠেলা ছাড়াও কোনাে জিনিস ওপরে ওঠানাে যায়। কিন্তু শুধু নিচের ঠেলায়
বেশিদূর ওঠানাে যায় না। তেমনি আপ্রাণ প্রচেষ্টার ফলে শিক্ষার দ্বারাই
জীবনের উন্নয়ন সম্ভব, কিন্তু শুধু সমাজ ব্যবস্থার সুশৃঙ্খলতার দ্বারা তা
সম্ভব নয়। শিক্ষাদীক্ষার ফলে সত্যিকার মনুষ্যত্বের ফলে মানুষ উপলব্ধি করতে
পারে, ‘লােভে পাপ, পাপে মৃত্যু' কথাটা বুলিমাত্র, সত্য। লােভের ফলে যে
মানুষের আত্মিক মৃত্যু ঘটে, অনুভূতির জগতে সে ফতুর হয়ে পড়ে, শিক্ষা
মানুষকে সে-কথা জানিয়ে দেয় বলে মানুষ লােভের ফাদে ধরা দিতে ভয় পায়।
ছােট জিনিসের মােহে বড় জিনিস হারাতে যে দুঃখ বােধ করে না, সে আর যাই হােক,
শিক্ষিত নয়। শিক্ষা তার বাইরের ব্যাপার, অন্তরের ব্যাপার হয়ে ওঠে নি।
লেফাফাদুরস্তি আর শিক্ষা এক কথা নয়। শিক্ষার আসল কাজ জ্ঞান পরিবেশন নয়,
মূল্যবােধ সৃষ্টি; জ্ঞান পরিবেশন মূল্যবােধ সৃষ্টির উপায় হিসেবেই আসে। তাই
যেখানে মূল্যবােধের মূল্য পাওয়া হয় না, সেখানে শিক্ষা নেই।
শিক্ষার মারফতে মূল্যবােধ তথা মনুষ্যত্ব লাভ করা যায়; তথাপি অন্নবস্ত্রের
সুব্যবস্থাও প্রয়ােজনীয় । তা না হলে জীবনের উন্নয়নে অনেক বিলম্ব ঘটবে।
মনুষ্যত্বের তাগিদে মানুষকে উন্নত করে তােলার চেষ্টা ভাললা; কিন্তু
প্রাণিত্বের বাঁধন থেকে মুক্তি না পেলে মনুষ্যত্বের আহ্বান মানুষের মর্মে
গিয়ে পৌছতে দেরি হয় বলে অন্নবস্ত্রের সমস্যার সমাধান একান্ত প্রয়ােজন।
পায়ের কাটার দিকে বারবার নজর দিতে হলে হাঁটার আনন্দ উপভােগ করা যায় না,
তেমনি অন্নবস্ত্রের চিন্তায় হামেশা বিব্রত হতে হলে মুক্তির আনন্দ উপভােগ
করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই দু দিক থেকেই কাজ চলা দরকার। একদিকে
অন্নবস্ত্রের চিন্তার বেড়ি উন্মােচন, অপরদিকে মনুষ্যত্বের আহ্বান, উভয়ই
প্রয়ােজনীয়। নইলে বেড়িমুক্ত হয়েও মানুষ ওপরে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করবে
না, অথবা মনুষ্যত্বের আহ্বান সত্ত্বেও ওপরে যাওয়ার স্বাধীনতার অভাব বােধ
করবে, পিঞ্জরাবদ্ধ পাখির মতাে উড়বার আকাঙ্ক্ষায় পাখা ? ঝাপটাবে, কিন্তু
উড়তে পারবে না।
শব্দার্থ ও টীকা :
নিগড়-শিকল, বেড়ি। তিমির-অন্ধকার। ক্ষুৎপিপাসা-ক্ষুধা ও তৃষ্ণা।
ফতুর-নিঃস্ব, সর্বস্বান্ত। লেফাফাদুরঞ্জি-বাইরের দিক থেকে ত্রুটিহীনতা
কিন্তু ভিতরে প্রতারণা। বেড়ি-শিকল, শৃঙ্খল। হামেশা- সবসময়, সর্বক্ষণ।
উন্মােচন-উন্মুক্ত করা। পিঞ্জরবন্ধ-খাঁচায় বন্দি। জীবসত্তা জীবের
অস্তিত্ব। জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে হলে অন্নবস্ত্র চাই।
মানবসত্তা-মানুষের অস্তিত্ব। মানবসত্তা বলতে লেখক মনুষ্যত্বকে বুঝিয়েছেন। শিক্ষার মাধ্যমে এই মনুষ্যত্ব অর্জন করা যায়।
অর্থচিন্তার নিগড়ে সকলে বন্দি-
লেখকের মতে আমরা জীবসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে অধিক মুনােযােগী। ফলে
অর্থচিন্তা আমাদের সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখে। অর্থচিন্তায় ব্যস্ত মানুষ প্রকৃত
মনুষ্যত্ব অর্জনে সক্ষম নয়।
কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের মূল্য কতটুকু?-
খাওয়া-পরার সমস্যা মিটে গেলেই জীবনের উন্নয়ন সম্ভব হয় না। এ জন্য
প্রয়ােজন চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা ও আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা।
শিক্ষার মাধ্যমেই এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
পাঠ-পরিচিতি :
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধটি মােতাহের হােসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা’
গ্রন্থের মনুষ্যত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধের অংশবিশেষ। মানুষের দুটি সত্তা- একটি
তার জীবসত্তা, অপরটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। জীবসত্তার প্রয়ােজনে
অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি এবং শিক্ষা লাভের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের
বিকাশ ঘটে। শিক্ষার ফলে মনুষ্যত্বের স্বাদ পেলে অন্নবস্ত্রের সমস্যার
সমাধান সহজ হয়ে ওঠে। শিক্ষার আসল কাজ মূল্যবােধ সৃষ্টি, জ্ঞান দান নয়;
জ্ঞান মূল্যবােধ সৃষ্টির উপায়মাত্র।
অনুশীলনী - কর্ম-অনুশীলন - মানব মুক্তির জন্য সমাজের উপরের অংশ ও নিচের অংশের কর্তব্যগুলাে নির্দেশ কর।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
১। মানুষের অন্ন-বস্ত্রের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে কোন দিকে লক্ষ রেখে?
ক, অর্থনৈতিক মুক্তির
খ. আত্মিক মুক্তির
গ. চিন্তার স্বাধীনতা
ঘ. বুদ্ধির স্বাধীনতা
২। আত্মিক মৃত্যু বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
i. স্বাভাবিক মৃত্যু ii. নৈতিক অধঃপতন iii. মূল্যবােধের অবক্ষয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শুকুর মিয়া তার স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে ব্যবসায়ের কাজে
নিয়ােজিত করেন। তিনি মনে করেন টাকাই জীবনের মূল। দুনিয়াতে যার যত টাকা সে
তত বেশি সুখী।
৩। শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলােকে উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার মাঝে প্রাধান্য পেয়েছে।
i. ক্ষুৎপিপাসা
ii. আত্মার অমৃত
iii. অর্থলিপ্সা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. ii ও iii
গ. i ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৪। ' শুকুর মিয়ার মানসিকতা পরিবর্তন হতে পারে যদি তিনি
ক. অর্থলিপ্সাকে জীবন-সাধনা মনে না করেন
খ. শিক্ষার প্রয়ােজনীয় দিককে গুরুত্ব দেন
গ. অর্থচিন্তার নিগড়ে সর্বদা বন্দি থাকেন
ঘ. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তিকে বড় করে না দেখেন।
সৃজনশীল প্রশ্ন -
সুমন ও শ্যামল বাল্যবন্ধু। দুজনই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত পেশাগত জীবনে সুমন
বড় ব্যবসায়ী। গাড়ি, বাড়ি, টাকা-কড়ি কোনাে কিছুরই অভাব নেই তার। সবাই
তাকে এক নামে চেনে। আর শ্যামল শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। গত সিডরে
তাদের গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে
ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের
ব্যবস্থা করে। অথচ সুমন ছুটে এসে সাহায্যের বদলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে
নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নেয়।
ক. মানব জীবনে মুক্তির জন্য মােতাহের হােসেন চৌধুরী কয়টি উপায়ের কথা বলেছেন?
খ. আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকের সুমনের মাঝে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব' প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়ােজনীয় দিকটি উপস্থিত’- ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব' প্রবন্ধের ও আলােকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
লেখক-পরিচিতি : মােতাহের
হােসেন চৌধুরী ১৯০৩ সালে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস
নােয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৩
সালে বাংলায় এম.এ. পাস করেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের
অধ্যাপক ছিলেন। একজন সংস্কৃতিবান ও মার্জিত রুচিসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে
তিনি খ্যাত ছিলেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত “শিখা পত্রিকার সঙ্গে তিনি যুক্ত
ছিলেন। তার লেখায় মননশীলতা ও চিন্তার স্বাচ্ছন্দ প্রকাশ ঘটেছে। তার গদ্যে
প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব লক্ষণীয়। মূলত গদ্যকার হলেও তিনি বেশ কিছু কবিতা
রচনা করেন। তাঁর প্রবন্ধগ্রন্থ সংস্কৃতি কথা বাংলা সাহিত্যের মননশীল
প্রবন্ধ-ধারায় একটি উল্লেখযােগ্য সংযােজন। তাঁর মৃত্যুর পর গ্রন্থটি
প্রকাশিত হয়। সভ্যতা ও সুখ তার দুটি অনুবাদগ্রন্থ। ১৯৫৬ সালের ১৮ই
সেপ্টেম্বর তিনি পরলােকগমন করেন।
0 Comments